নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়িঃ এটিএম মেশিনে আঠা লাগিয়ে জন সাধারণের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে সহায়তার নাম করে প্রতারণা। দীর্ঘ তিন মাস প্রচেষ্টার পর অবশেষে এই প্রতারণা চক্রের চার পান্ডাকে গ্রেফতার করল শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের বাগডোগরা থানার সাদা পোশাকের পুলিশ।
ধৃতদের বুধবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেয় শিলিগুড়ি আদালত। ধৃতরা হল গোপাল কুমার(৩২), রিচু কুমার(২৪), চন্দন কুমার (১৮) এবং ধনঞ্জয় কুমার(২৮)।ধৃতরা বিহারের বাসিন্দা। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, এই চক্র মূলত এটিএম সম্পর্কে অবগত নয় এমন নাগরিকরা এদের মূল টার্গেট। এরা বিশেষ করে শহরের পাশ্ববর্তী এলাকায় এটিএম এর বাইরে থাকত। এরপর সুযোগ বুঝে এটিএম মেশিনের যেখানে কার্ডটি ঢোকাতে হয় সেখানে আঠা লাগিয়ে রাখত।
শুধু তাই নয়, এটিএম হেল্পলাইন নম্বরে জায়গায় নিজেদের নম্বর লাগিয়ে দিত প্রতারকেরা। এরপর কোন নাগরিক এটিএম কার্ড ঢোকালে আর বেরোত না। এরপর কোন নাগরিক যদি তার এটিএম কার্ড ব্লক করতে চাইতেন তাহলে এটিএম পক্ষে থাকা ওই হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করলে। তাদের কথা মতো এটিএম নাগরিকরা এটিএম কার্ড ব্লক করতে এটিএম পিন সহ একাধিক তথ্য দিয়ে দিতেন। এরপর ধৃতরা সহায়তার নামে প্রতারণা চক্র চালাত এই গ্যাং।
উল্লেখ্য, বাগডোগরা থানা অন্তর্গত এলাকায় এক ব্যক্তিকে এটিএম এ সহায়তার নাম করে তার লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা করা হয়।অভিযোগের পর থেকেই তদন্ত চলছিল।চক্রের চার সদস্যকে এনজেপি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।আগামীকাল ধৃতদের শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরের আগস্ট মাসে বাগডোগরা থানা অন্তর্গত এলাকায় এক ব্যক্তিকে এটিএম এ সহায়তার নাম করে তার ১ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা প্রতারণা করা হয়।ঘটনার পর বাগডোগরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ব্যক্তি।এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ।তদন্তে পুলিশ জানতে পারে বিহারের একটি গ্যাং রয়েছে যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।এরপর সেই গ্যাংটিকে ধরতে বাগডোগরা পুলিশের একটি দল বিহারেও অভিযান চালায়, কিন্তু গ্যাংটিকে ধরতে পারেনি।
অবশেষে প্রতারণা চক্রের চার পান্ডাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় বাগডোগরা থানার সাদা পোশাকের পুলিশ।